প্রশ্ন, এক ইমাম সাহেব বললেন, আপনার উপরে এক বারই হজ ফরয বারবার হজে না যাইয়া হজের টাকাগুলো এলাকার গরীব,মিসকীন, ইয়াতিম, বিধবা ও মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে যদি দিয়া দেন তবে বেশী নেকী পাবেন। ইমাম সাহেবের কথাটি কতটা সহীহ। কুরআন হাদীসের আলোকে বাংলা অনুবাদসহ জানাইতে হুজুরের নিকট সবিনয় আরজ।
উত্তর:কুরআন-হাদীসের বিভিন্ন নুসুসে যেভাবে নফল হজের গুরুত্ব, মাহাত্ম ও ফজীলত বর্ণিত হয়েছে, তেমনিভাবে নফল সদকারও অনেক গুরুত্ব ও ফজীলত বর্ণিত হয়েছে। তাই ঢালাওভাবে এ কথা বলা যায় না যে, নফল হজ নফল সদকা থেকে উত্তম। আবার একথাও বলা যায় না যে, নফল সদকা নফল হজ থেকে উত্তম; বরং প্রত্যেকটা স্থান কাল পাত্র হিসাবে উত্তম সাব্যস্ত হবে।
তাই নফল হজে গমনেচ্ছুক ব্যক্তি যদি কোনো বিশেষ ব্যক্তির ব্যাপারে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারে যে, সে বা তারা দূরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, তাহলে অবশ্যই নফল হজে না গিয়ে একনিষ্ঠ অন্তরে তাদের সদকা করলে তা উত্তম হবে। এতদভিন্ন স্বাভাবিক অবস্থায় নফল হজই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। (বুখারী:হা:১৫২১, তাতারখানিয়া:৩/৬৮৬, মুহিতে বুরহানী:৩/৪৯৯, বাহার:২/৫৪৩)