প্রশ্ন: আমার অফিস একটি বীমা কোম্পানীর সাথে আমাদের অফিস কর্মচারী ও তাদের স্ত্রী সন্তানদের স্বাস্থ্য বীমা চুক্তি করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ী আমার অফিস হতে প্রত্যেকের নামে বীমা কোম্পানীকে প্রতি মাসে বার থেকে পনের শত টাকা কওে জমা দিচ্ছে। এভাবে আমি ও আমার স্ত্রী ও সন্তানের নামে প্রতি বছওে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা বীমা কোম্পানীতে জমা হচ্ছে। আর এর বিনিময়ে বীমা কোম্পানী আমাদেরকে একেক জনের জন্য অসুস্থতার সেবা হিসেবে দুই লক্ষ্য টাকার চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ।
১নং প্রশ্ন: আমি / আমার পরিবারকি এ দুইলক্ষ্য টাকা চিকিৎসা সেবা বীমা কোম্পানীর কাছ থেকে গ্রহন করতে পারবো ?
২নং প্রশ্ন: অথবা আমার অফিস আমাদের নামে যে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রতি বছর বীমা কোম্পানীতে জমা দেয়, এই পঞ্চাশ হ াজার টাকার চিকিৎসা সেবা কি আমি নিতে পারবো ?
৩নং প্রশ্ন: অথবা আমি কি একজনের অর্থাৎ শুধুমাত্র আমার নামে যে টাকা জমা দেওয়া হয় সেটার কোন অংশ বীমা কোম্পানী থেকে নিতে পারবো ?
৪নং প্রশ্ন: আমি পূর্বে আমার ছেলের অসুস্থতার কারণে এই বীমা কোম্পানী থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচ নিয়েছি। এটার এখন কি বিধান আছে ?
টীকা: এ কারণে আমার বেতন থেকে কোন টাকা কাটা হয় নাই।
উত্তর: আপনার কোম্পানী যে বীমা কোম্পানীর সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে এর দ্বারা যদি কোম্পানী প্রত্যেক কর্মচারীকে উক্ত চুক্তির কারণে বীমার আওতাভূক্ত করতে বাধ্য করে থাকে এবং সেই কারণেই কোম্পানী নিজের ফান্ড থেকে কর্মচারীর নামে টাকা জমা দিচ্ছে, তাহলে কোম্পানীর পক্ষ থেকে বীমার সুবিধা ভোগ করা বৈধ হবে। তবে বীমা কোম্পানী থেকে সরাসরি আপনার নামে জমাকৃত অর্থের বেশী নগদ অর্থ গ্রহণ করা বৈধ হবে না। কারণ কোম্পানীর সাথে বীমা হয়েছে চিকিৎসা সেবার। যদি বীমা কোম্পানী থেকে নগদ অর্থ গ্রহন করা হয় তা প্রদত্ত অর্থের বেশী হলে বিনিময় ছাড়া হবে, এতে সুদের সংমিশ্রন এর সম্ভাবনা থাকে। হ্যাঁ, চিকিৎসা গ্রহণ করা কোম্পানীর বিধি অনুযায়ী বেশী হোক বা কম হোক সবই বৈধ হবে। এ কারণে আপনার দেড় লক্ষ টাকা সরাসরি বীমা কোম্পানী থেকে গ্রহণ করা আপনাদের নামের জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত হওয়ায় তা অবৈধ এবং ফেরতযোগ্য।
আর যদি কোম্পানী বীমার আওতাভূক্ত হতে কর্মচারীদের বাধ্য না করে সে ক্ষেত্রেও আপনার বেতন থেকে কোন অর্থ কর্তন না করার শর্তে শুধুমাত্র কোম্পানীর সাথেই বীমা কোম্পানীর চুক্তির ফলে চিকিৎসা প্রদান করে বা কোম্পানী নিজেই কর্মচারীদের চিকিৎসার নামে টাকা প্রদান করে তা আপনার জন্য বৈধ হবে। কিন্তু বীমা কোম্পানীর সাথে সরাসরি নগদ অর্থের কোন লেনদেন বৈধ না হলেও চিকিৎসার সুবিধা নেওয়ার অবকাশ থাকবে। (বাদায়ে:৫/১৬২, হিন্দিয়া:৪/৩৯৫, সিরাজিয়াহ:৪০৩, জাদীদ ফিকহী মাবাহীস:১৫/২৩-২৪ )