প্রশ্ন : শরীয়তে রিমান্ডের হুকুম কি? মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেনে-শুনে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করলে অত্যাচারীর উপর কি কিসাস বা দিয়ত আসবে?
উত্তর: শরীয়া মতে কারো অপরাধের ব্যপারে শরয়ী সাক্ষ্য না থাকলেও যদি তার চলন-বলন ও অন্যান্য নিদর্শনের ভিত্তিতে তার অপরাধের ব্যাপারে বিচারকের সুনিশ্চিত বা প্রবল ধারণা হয়, তাহলে বিচারকের জন্য তাকে তাযীর (লঘু শাস্তি) স্বরূপ যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার অনুমতি আছে। আর বর্তমানে প্রচলিত রিমান্ড মূলত তাযীরেরই একটি রূপ। এছাড়া শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে কাউকে স্বীকারোক্তির জন্য শাস্তি দেওয়া বৈধ নয়। আর জেনে শুনে অন্যায়ভাবে কারো উপর অত্যাচার করার ক্ষেত্রে অত্যাচারিত ব্যক্তির অঙ্গহানী ঘটলে বা মারা গেলে অত্যাচারকারীর উপর কেসাস বা দিয়ত আরোপ হবে। অন্যথায় সে শুধু জালেম বলে গন্য হবে। কোনো জরিমানা হবে না।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেনে শুনে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করলে যদি অত্যাচারের কারণে রিমান্ডে থাকা ব্যক্তির অঙ্গহানী বা মৃত্যু ঘটে, তাহলে অত্যাচারকারীকে অবশ্যই এর দায় ভার বহন করতে হবে। অন্যথায় তার উপর কোনো দায়ভার না আসলেও সে যালেম হিসেবে সাব্যস্ত হবে। আর যালেমের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (শামী : ৬/১৪-৮/২৮)