মাসায়েল24

২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি * ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ * রাত ৮:২২

বাংলাদেশে সৌদি আরবের অনুসরণ করে রোজা রাখা কিংবা ভঙ্গ করা যাবে কি-না?

প্রশ্ন: মুহতারাম, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখে, যা সাধারণত আমাদের একদিন পূর্বে শুরু ও শেষ হয়ে থাকে। জানার বিষয় হলো, সৌদি আরবের অনুসরণ করে যারা এভাবে রোজা রাখে তাদের রোজা পূর্ণরূপে আদায় হবে কি-না? ইল্লতসহ জানালে উপকৃত হবো।

উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে রোজা রাখা ও রোজা ছাড়া উভয়টিই চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। উদয়স্থল ভিন্ন এমন দেশের চাঁদ অন্যান্য দেশের জন্য যথেষ্ট নয়।
অতএব, আমাদের দেশে সৌদী আরবের অনুসরণ করে রোজা রাখলে রোজা আদায় হবে না। কেননা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের উদয়স্থল ভিন্ন হওয়ায় সৌদি আরবে চাঁদ দেখা আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। অথচ কোরআন-হাদীসে রোজা রাখা ও ছাড়ার ব্যাপারে চাঁদ দেখাকে মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র: সূরা বাকারা (আয়াত নং: ১৮৫), সহিহ বুখারী (হাদীস নং: ১৯০৬), সহিহ মুসলিম (হাদীস নং: ২৫৮০)

[সূরা বাকারা:185] فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ

[صحيح مسلم:2480]عن كريب، أن أم الفضل بنت الحارث، بعثته إلى معاوية بالشام، قال: فقدمت الشام، فقضيت حاجتها، واستهل علي رمضان وأنا بالشام، فرأيت الهلال ليلة الجمعة، ثم قدمت المدينة في آخر الشهر، فسألني عبد الله بن عباس رضي الله عنهما، ثم ذكر الهلال فقال: متى رأيتم الهلال؟ فقلت: رأيناه ليلة الجمعة، فقال: أنت رأيته؟ فقلت: نعم، ورآه الناس، وصاموا وصام معاوية، فقال: ” لكنا رأيناه ليلة السبت، فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين، أو   نراه، فقلت: أو لا تكتفي برؤية معاوية وصيامه؟ فقال: لا، هكذا أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم

Loading

Facebook
X
WhatsApp
Telegram