প্রশ্ন : বর্তমান যুগে রাস্তায় বের হলেই অনেক সময়ে ছিনতাই কারীর কবলে পড়তে হয় এবং এখন পর্যন্ত অনেক গ্রামে ডাকাতি করে সব কিছু লুটপাট করে নেওয়ার খবর শোনা যায়। জানার বিষয় হলো, শরীয়া আলোকে এরকম অপরাধের শাস্তি কি? এবং বর্তমানে যেহেতু এরকম অপরাধির সাথে পুলিশ বা সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে পূর্ব থেকেই আতাত করার কথাও শোনা যায়, তাই তাদের কাছে সোপর্দ করেও কোন লাভ হয় না। শাস্তি ছাড়ায় তারা মুক্তি পেয়ে যায়। তাই তাদেরকে থানায় না দিয়ে নিজেরাই কোন শাস্তি দিতে পারবে কি -না? জনসাধারনের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষে শরীয়া আলোকে বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিকোণে শরয়ী কাজী বা বিচার ব্যবস্থা থাকাকালীন অন্য কারো জন্য অপরাধীকে কোন প্রকার শাস্তি প্রদান জায়েয নেই। একান্ত শরয়ী কাজী বা বিচার ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে পঞ্চায়েত বা অপরাধীর আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে “হদ ও কেসাস” ব্যতিত ভিন্ন কোন শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে।
সুতরাং প্রশ্নে বর্নিত সুরতে ছিনতাইকারীর নির্দিষ্ট কোন শাস্তি নেই; বরং শরয়ী কাজী বা আদালতের জন্য অবস্থাভেদে শাস্তি প্রদান করার অবকাশ রয়েছে। আর ডাকাতের শাস্তি কয়েক প্রকার, তাই অবস্থাভেদে কাজী বা আদালত অইনানুগ শাস্তি প্রয়োগ করবে। কোন ভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার সাধারণ জনগণের নেই। তবে রাষ্ট্রে যদি ন্যয় বিচার না থাকে, তাহলে অসৎ কাজ হতে বাধা প্রদান স্বরূপ অপরাধীর আত্মীয় স্বজনের জন্য তাকে শাস্তি প্রদান করা আবশ্যক। যদি তারা এধরণের কোন প্রদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে “হদ ও কেসাস” ব্যতিত অন্য যে কোন ধরনের শাস্তি প্রদান করার অবকাশ রয়েছে। অবস্থাভেদে জরুরী ও বটে।
উল্লেখ্য, চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী অপরাধ সংঘটনকালে মালিকপক্ষ তার সম্পদ/আত্ম রক্ষায় ততক্ষণাৎ উত্তম-মধ্যম দিলে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য হয় না। এমনকি অপরাধী স্পটডেথ হলেও মালিকপক্ষের উপর শরীয়া আইনে কিসাস বা দিয়ত বর্তায় না। (তিরমিযি : ১৪৪৮, এলাউস সুনান : ৯/৪৫৬৮, আহসানুল ফতোয়া : ৫/৫১৫,৫১৩, শামী : ৬/১০২)