প্রশ্ন : বিমানের মধ্যে সাধারণত পানি থাকে না, তাই আমার জানার বিষয় হল, বিমানে থাকা কালে যদি সপ্নদোষ হয়, এবং কোন নামাযের সময় চলে যাওয়ার আশংকা থাকে তাহলে তায়াম্মুম করে নামায পড়া বৈধ হবে কি-না? আর যদি তায়াম্মুমের ও কিছু না থাকে তাহলে পবিত্রতার উপায় কি?
উত্তর : শরীয়তের দৃষ্টিতে নামাযের সময় শেষ হওয়ার পূর্বে পানি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে বা পানি থাকলেও বিশেষ অপারগতাবশত তা ব্যবহারে অক্ষম হলে ওযু গোসল উভয় ক্ষেত্রে তার জন্য তায়াম্মুম করা জায়েয। আর পানির পাশাপাশি তায়াম্মুমের জন্যও কিছু না পেলে বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী তার জন্য নামাযের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা ও পরবর্তীতে কাযা করা আবশ্যক।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত সুরতে বিমানে যেহেতু গোসল করার কোন সুযোগ বা ব্যবস্থা নেই, বিধায় গন্তব্যস্থানে পৌছার পূবেই নামাযের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার প্রবল আশংকা হলে এবং তায়াম্মুম করা সম্ভব হলে তার জন্য তায়াম্মুম করে নামায পড়া আবশ্যক। যদি তায়াম্মুম করারও কোন ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে পবিত্রতার আর কোন উপায় নেই বিধায় সে অপবিত্রাবস্থায়ই ওয়াক্তের সম্মানার্তে শুধু নামাযী ব্যক্তির সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে। নামাযের নিয়ত ও কিরাত পড়বে না। পরবর্তীতে পবিত্রতা অবলম্বন করে উক্ত নামায কাযা করে নিবে। (দুররে মুখতার ১/৪৪০, বাদায়ে : ১/১৭৫, খুলাসা: ১/৩১)