প্রশ্ন : রায়হান সাহেব ৫ বিঘা জমিন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও ঈদগাহের জন্য ওয়াকফ করেন। অতপর তিনি মারা যাওয়ার পর এলাকার নেতারা সেখানে স্কুল এবং তার সামনের জায়গা ঈদগাহের জন্য নির্ধারণ করেন এবং স্কুলের বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠান এবং গান-বাজনা ইত্যাদি উক্ত ঈদগাহে করে অতপর রায়হান সাহেবের ছেলে বাধা দেয় এবং বলে যে আমার বাবা এখানে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়াকফ করেছে, তাই তোমরা স্কুল ভেঙ্গে নিয়ে যাও আমি এখানে মাদ্রসা বানাবো। জানার বিষয় হলো এভাবে ঈদ গাহে গান-বাজনা ইত্যাদির কারণে স্কুলকে উঠিয়ে দেওয়া এবং মাদ্রাসা বানানো বৈধ হবে কি?
উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিকোণে ওয়াকফকৃত জায়গা ওয়াকফকারী কর্তৃক শর্তানুযায়ী সুনির্দিষ্ট খাতে ব্যবহার করা আবশ্যক।
সুতরাং প্রশ্নে বর্নিত সুরতে রায়হান সাহেব যেহেতু উক্ত পাঁচ বিঘা জমিন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও ঈদগাহের জন্য ওয়াকফ করেছিলেন, তাই সেখানে স্কুল নির্মাণ অবৈধ হওয়ায় তা উঠিয়ে দিয়ে সেখানে দ্বীনি প্রতিষ্ঠানই নির্মাণ জরুরী। (শামী : ৬/৭০৪, মাহমুদিয়া : ১৪/৩৩৯)